ইউএনওকে একক কর্তৃত্ব প্রদান আমলাতান্ত্রিক চক্রান্ত
নতুন বেতন স্কেল থেকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেয়া এবং জেলা পরিষদকে কার্যকর করার মাধ্যমে ইউএনওকে একক কর্তৃত্ব প্রদান আমলাতান্ত্রিক চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি।বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ জানানো হয়।
ঘোষিত বেতন স্কেল থেকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেয়ায় এটি একটি বৈষম্যমূলক বেতন স্কেলে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অসম্মানিত করে ইউএনওকে একক কর্তৃত্ব প্রদানের মত সার্কুলার জারি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য অসন্তোষ সৃষ্টি করে চলমান স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ধারাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
ইউএনওকে একক কর্তৃত্ব প্রদানের ফলে প্রশাসন ক্যাডার ব্যতীত সকল ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তা এবং সকল স্তরের কর্মচারী মর্যাদা ও আর্থিক দিক থেকে দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো বলেন, এ সার্কুলার উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মসূচিকে আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে ফেলবে এবং আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতির নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এ সময় তারা ছয়দফা দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো:
এক. মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব থেকে সচিব/সিনিয়র সচিব পর্যন্ত সকল পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার কর্মকর্তা পদায়নের মাধ্যমে পেশাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে হবে।
দুই. বেতনস্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল করতে হবে।
তিন. উপজেলাকে কার্যকর করতে ইউএনওর কর্তৃত্ব বাতিল করে জনপ্রতিনিধি হিসাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষমতায়ন করতে হবে।
চার. আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন করতে হবে।
পাঁচ. নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস বহির্ভূত সকল ধরনের প্রেষণা বাতিল করতে হবে।
ছয়. সকল ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসের পদোন্নতির সমান সুযোগ প্রদান করতে হবে।
আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে উল্লেখিত দাবি না মানা হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রকৃচি কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির সচিব আব্দুস সবুর, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব মোবারক আলী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যা্সোসিয়েশনের মহাসচিব ইকবাল আর্সনাল, বিসিএস সমন্বয় কমিটির মহাসচিব ফিরোজ খান প্রমুখ।
এএস/জেডএইচ/এমএস