রিজেন্টে ৭৬ মেট্রোরেলকর্মীর ভুয়া করোনা রিপোর্ট : মিজান গ্রেফতার
মেট্রোরেলের প্রকল্পের কাজে জড়িত ৭৬ শ্রমিকের ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ জুলাই) ভোরে গোপালগঞ্জের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তপন চন্দ্র সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে মেট্রোরেলের ৭৬ শ্রমিকের ভুয়া করোনা রিপোর্ট দিয়েছিল।
গ্রেফতার আসামি মিজানুর রহমানকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ কর্মীকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে ২০ জুলাই রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমসহ হাসপাতালের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মেট্রোরেলের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রেজাউল করীম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেট্রোরেলে কর্মরত ৭৬ কর্মীর করোনার পরীক্ষা করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালে। এ জন্য পরীক্ষাপ্রতি সাড়ে তিন হাজার করে টাকা নেয়া হয়। কিন্তু টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় কর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।
মামলার প্রধান আসামি সাহেদকে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে র্যাব প্রমাণ পায়- রিজেন্টে করোনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হতো। এ জন্য হাসপাতালটির মিরপুরের শাখাসহ উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে করোনার ভুয়া রিপোর্ট আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বিষয়ে প্রতারণা করায় হাসপাতালটির চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
এআর/এফআর/এমকেএইচ