মেট্রোরেলের ৭৬ কর্মীর ভুয়া করোনা রিপোর্ট, সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ জন কর্মীকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট দিয়ে তাদের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ানোর অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মেট্রোরেলের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রেজাউল করীম মামলাটি করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালে মেট্রোরেলের কর্মীদের করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ করিম, এমডি মাসুদ পারভেজসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মেট্রোরেলে কর্মরত ৭৬ কর্মীর করোনার পরীক্ষা করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালে। এজন্য পরীক্ষাপ্রতি সাড়ে তিন হাজার করে টাকা নেয়া হয়। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় কর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।
এর আগে গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ ও করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সনদ দেয়া এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এতে নানা অনিয়ম ধরা পড়ে।
পরদিন গত ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের দুটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে। ৯ দিন পর ১৫ জুলাই ভোরে র্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে গ্রেফতার করা হয়।
এআর/এমএসএইচ/জেআইএম