সকাল গড়িয়ে দুপুর, পানি নামেনি ধানমন্ডিতে
রাতভর বৃষ্টির পর সকালেও ঝড়েছে অঝোর বৃষ্টি। বৃষ্টির পানি দ্রুত না নামায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে, মূল সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সকাল গড়িয়ে দুপুরেও হাঁটু পানি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে মিরপুর-নিউমার্কেট সড়কে চলাচলকারী মানুষ।
অনেক স্থানে রাস্তা ও ফুটপাত তলিয়ে যাওয়ার কারণে সোমবার (২০ জুলাই) সকালে স্বাভাবিক যান চলাচল হয় বাধাগ্রস্ত। জলাবদ্ধতার কারণে রাজধানীর গাবতলী থেকে আসাদগেট পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা দেয়। যা দুপুরেও বিদ্যমান বলছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
সকালে ধানমন্ডির সড়ক কোমর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজট দেখা দেয় মিরপুর সড়কে। বাধ্য হয়ে যানজট সামলাতে আসাদগেটে ডাইভারশন করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকালে যারা কাজে বেরিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই পড়েছেন বিপাকে। পানিতে ডুবে থাকা সড়কের মধ্যদিয়ে যখন যানবাহন চলছে তখনই সড়কে উঠছে ঢেউ।
বৃষ্টির কারণে মিরপুর, তেজগাঁও, শেরে বাংলানগর ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি উঠে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন কাজে বেড় হওয়া কর্মজীবী মানুষ। জলাবন্ধতার কারণে সড়কে যানবাহনও চলছে ধীরগতিতে।
ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিকের এডিসি মঞ্জুর মোর্শেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বেলা ১১টা পর্যন্ত ধানমন্ডির ওপর দিয়ে যান চলাচল সম্ভব হয়নি জলাবদ্ধতার কারণে। যার প্রভাবে গাবতলী-মিরপুর পর্যন্ত যানজট লেগে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসাদগেট থেকে ধানমন্ডি যাওয়ার সড়ক বন্ধ করে দিয়ে ডাইভারশন করে ফার্মগেট যাওয়ার সড়ক গতিশীল করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসাদগেটের ভাইভারশন তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ধানমন্ডিতে এখনো হাঁটু পানি। যানবাহন চলাচল শুরু হলেও গতি খুবই কম। যে কারণে যানজট এখনো রয়ে গেছে। তবে সকালে খুব খারাপ পরিস্থিতি ছিল। সে তুলনায় এখন ভালো।’
ডিএমপির শেরেবাংলা নগর এলাকার ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার আবুল হোসেন জানান, রাতভর অঝোর বৃষ্টির কারণে পুরাতন বিমানবন্দর সড়ক, উড়োজাহাজ ক্রসিং, লাভ রোডের পূর্ব-পশ্চিম অংশ ডুবে গিয়েছিল। দুপুর ১২টার দিকে জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন হওয়ায় যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনো মিরপুর সড়কে যানজট রয়েছে।
জেইউ/এসআর/জেআইএম