চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার কেলেঙ্কারির রায় ৮ নভেম্বর
১৯৯৬ সালের চিটাগাং সিমেন্টের (বর্তমানে হাইডলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার রায় ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবীর।
মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও চিটাগাং সিমেন্ট লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, ডিএসই ও চট্টগ্রাম সিমেন্টের সাবেক পরিচালক এ এস শহিদুল হক বুলবুল এবং টিকে গ্রুপের আবু তৈয়ব।
মঙ্গলবার রকিবুর রহমান এবং এ এস শহিদুল হক বুলবুলের আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এছাড়া আবু তৈয়বের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।
এ সময় আদালতে আসামিরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির আইনজীবী মাসুদ রানা খান।
এদিকে মামলার বিবরণে বলা হয়, ভারতীয় এবং ইরানি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেছেন আসামিরা। বিএসইসির অনুমতি ছাড়া কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অঙ্কের শেয়ার হন্তান্তর করেন। এছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা সত্ত্বেও আসামি রকিবুর রহমান এবং এএস শহিদুল হক বুলবুল কোম্পানির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ-১৯৬৯ এর লঙ্ঘন।
১৯৯৬ সালের জুলাইয়ে চিটাগং সিমেন্টের শেয়ার দর ২ হাজার ৫৮৫ টাকা থেকে প্রায় ১ হাজার শতাংশ বেড়ে একই বছরের ডিসেম্বরে ১৮ হাজার ৪৮ টাকায় উন্নীত হয়। কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও এর নেপথ্যে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জকে দেয়নি কোম্পানিটি। পরবর্তীতে দুই মাসের মধ্যে কোম্পানির শেয়ার দর ১ হাজার ৭৩১ টাকায় নেমে আসে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন।
এসআই/একে/এমএস