‘বিপণনের জন্য’ জাল টাকা সংগ্রহ করেন সাহেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২০

করোনা পরীক্ষা নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ মাথায় নিয়ে কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর বুধবার র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ। ওইদিনই রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সাহেদের একটি ফ্লাটে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে ২৯২টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাল টাকাগুলো সাহেদ বিপণনের উদ্দেশে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছেন। এ টাকাগুলো সংগ্রহের জন্য তাকে সহযোগিতা করেছেন রিজেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ।

জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবুর রহমান। মামলার এজহারে এসব কথা উল্লেখ করেন মামলার বাদী।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, জাল নোট সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাহেদ স্বীকার করেছেন যে, এ লাগেজ এবং লাগেজের ভেতরের মালামালগুলো তার নিজের এবং উদ্ধারকৃত জাল টাকাগুলো সে মাসুদ পারভেজের সহযোগিতায় সংগ্রহ করেছেন এবং বিপণনের উদ্দেশে সংরক্ষণ করেন।

আসামি সাহেদ আরও স্বীকার করেন, মাসুদ পারভেজের সহযোগিতায় এবং বাড়ির মালিক ইয়াহিয়া খানের সহায়তায় চলতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া এবং পাঁচ হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ প্রদানের মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে বাসাটি ভাড়া নিয়ে অফিস হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। অফিসের নিয়ন্ত্রণ ও মালামাল সংরক্ষণ তাদের নিজের কাছে ছিল।

সাহেদের গোপন কার্যালয়ে জাল টাকা: প্রতিবেদন ৭ সেপ্টেম্বর

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের কার্যালয় থেকে উদ্ধারকৃত জাল টাকাগুলো মাসুদ পারভেজের সহযোগিতায় সংগ্রহ করে এবং বিপণনের উদ্দেশে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

গোপন কার্যালয় থেকে জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয়ে সাহেদকে। এছাড়া রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে দুই নম্বর এবং অজ্ঞাতনামা আরও আসামি করা হয়।

এর আগে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ওইদিনই রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সাহেদের একটি ফ্লাটে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) জাল-জালিয়াতির দায়ে করা মামলায় গ্রেফতার রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ এবং মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আর সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

জেএ/এমএফ/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।