কথা ও কাজের অসামঞ্জস্যতায় মানুষ


প্রকাশিত: ০৭:৪৯ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

ইসলাম পৃথিবীতে উদার, শান্তি ও শৃঙ্খলার ধর্ম। কুরআন মানুষের জীবনযাত্রার গাইড। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সরাসরি পথনির্দেশকারী। বিদায় হজের ভাষণে রাসুলে আরাবির ঘোষণাও ছিল এমন যে, আমি তোমাদের মাঝে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যারা এ দু’টোকে আঁকড়ে ধরবে, তারা পথহারা হবে না। তার একটি কুরআনুল কারিম আর দ্বিতীয়টি রাসুলে আরাবির সুন্নাত। আমাদের কথায় কুরআন-সুন্নাহ সামঞ্জস্যতা রয়েছে, কিন্তু মিল নেই কর্মে। যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।

হজরত শাকিক বিন ইবরাহিম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, মানুষ চারটি কথা মুখে বলে কিন্তু আমল করে তার বিপরীত। অর্থাৎ মুখে বলে কিন্তু মানে না। আর তা হলো-

ক. প্রত্যেকেই নিজেকে স্বীকৃতি দেয় যে, আমি আল্লাহর বান্দা। কিন্তু সে এমন আমল বা কাজ করে, মনে হয় সে কারো বান্দা নয়। আর তার কোনো মাবুদ নাই।
খ. প্রত্যেক বান্দাই বলে আল্লাহ রিযিকদাতা। কিন্তু পার্থিব ধন-সম্পদ ব্যতিত তার মন কখনো স্বস্তির হয় না। আরো ধন-সম্পদ চাই-ই চাই।
গ. প্রত্যেক ব্যক্তিই বলে, দুনিয়া অপেক্ষা আখিরাত উত্তম। কিন্তু দিন-রাত ধন-সম্পদসহ দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে এতটাই মত্ত যে, আল্লাহর বিধান পালনে সম্পূর্ণ গাফেল। এমনকি হালাল-হারামের প্রতিও লক্ষ্য নেই।
ঘ. মুখে বলে মানুষকে একদিন মৃত্যু বরণ করতে হবে। কিন্তু এমন আমল বা কাজ করে মনে হয়, জীবনেও মৃত্যু তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। কখনো মৃত্যু আসবে না।

পক্ষান্তরে যে মানুষ মুখে উপরোল্লিখিত কথাগুলো বলার পাশাপাশি তা বাস্তব জীবনে আমল করবে তার জন্য কোনো চিন্তা নেই। সে হবে সফলকাম। যারা এ কথাগুলো বলে কিন্তু কাজে বাস্তবায়ন করবে না বা মেনে নেবে না তাদের জন্য রয়েছে আখিরাতে ভয়াবহ শাস্তি। আর তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।

সুতরাং প্রতিটি মানুষের উচিত, মুখের বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে কর্মের সামঞ্জস্যতা বিধান করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে কথা ও কাজে সামঞ্জস্যতা বিধানের তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।