বারবার অবস্থান বদলেছেন সাহেদ
রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে গ্রেফতারের পর র্যাবের এডিজি (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেছেন, ‘সাতক্ষীরায় তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গতরাত ২টা থেকে অভিযান শুরু করলেও ভোর ৫টা ১০ মিনিটে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। এর আগে বারবার অবস্থান পরিবর্তনের কারণে বেশ কয়েকবার সাহেদের কাছাকাছি গিয়েও তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।’
সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে বহনকারী র্যাবের হেলিকপ্টার বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তেজগাঁও বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
র্যাবের এডিজি বলেন, ‘ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তনের কারণে সাহেদের কাছাকাছি কয়েকবার পৌঁছানো সম্ভব হলেও গ্রেফতার এড়াতে পেরেছেন তিনি। গত ৯ দিনের টানা চেষ্টার পর অবশেষে বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীতীর সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, ‘সাহেদ স্থানীয় দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমরা কিছু দালালের নাম পেয়েছি, এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি বোরকা পরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
এর আগে, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। বুধবার সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।
এআর/জেডএ/জেআইএম