কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড : রিভিউ করার সুযোগ নেই
একাত্তরের মানবতাবিরোধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আপিলের রায় ঘোষণা পর সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে তিনি এ কথা জানান।
মাহবুবে আলম বলেন, রিভিউ করার সুযোগ নেই। কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে রিভিউ আবেদন খারিজ হয়েছে। এটা বিশেষ আইনে বিচার হচ্ছে। সংবিধানে এই বিশেষ আইনকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।
রায়ের কপি কারাগারে যাওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ কামারুজ্জামানের আপিল আংশিক মঞ্জুর করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় দেন।
কামারুজ্জামান বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ‘আলবদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক’ ছিলেন। গত বছরের ৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সাতটির মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ (১, ২, ৩, ৪ ও ৭) সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর ‘বিধবাপল্লীতে’ নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের দায়ে (তৃতীয় অভিযোগ) কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। এই অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত ও সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপিল বিভাগ একমত হলেও সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে।
২০১০ সালের ১৩ জুলাই রাজধানীর পল্লবী থানায় করা একটি মামলায় কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২ অক্টোবর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১২ সালের ৪ জুন ট্রাইব্যুনাল তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ গঠন করেন।