বাল্যবিয়ে বালক-বালিকাদের অধিকার হরণ করে : তথ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাল্যবিয়ে বালক-বালিকাদের অধিকার হরণ করে। সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু্ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজার হলে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও সুইজারল্যান্ড সরকারের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত শাহানা কার্টুনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা মেটাভেল পিচিন সভাপতিত্ব করেন। সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ফোটচ বিশেষ অতিথি ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিয়ের বেশির ভাগ শিকার হচ্ছে এতিম, দরিদ্র, অসহায় ও পথশিশুরা। তাই দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে আমাদেরকে সবার আগে ওইসব শিশুদের দিকে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে একটি অভিশাপ। এ ব্যাপারে আমরা সবাই একমত। এই অভিশাপ দারিদ্র্য, লিঙ্গবৈষম্য, কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার কারণে হচ্ছে।

ইনু বলেন, সমাজের যারা প্রধান তাদেরকে দারিদ্র্য, বৈষম্য, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। তা না হলে আইন করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করার সংগ্রাম কঠিন হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, একটি বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে দিলে তার অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। এমতাবস্থায় বাচ্চা গ্রহণ করলে সেই বাচ্চা অপুষ্ট হয়। বাচ্চা লালন-পালনে ব্যর্থ হয়, মানসিকভাবে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এগুলো বাল্যবিবাহের কুফল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বালিকাদের যদি শিক্ষার সুযোগ, ক্ষমতায়নের সুযোগ ও শ্রমের সুযোগ দিতে হয় তাহলে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম করে যেতে হবে।

তিনি বলেন, একটি ১৭ বছরের বালিকা বয়সন্ধিকালে যখন থাকে তখন তার শরীর বিকাশমান অবস্থায় থাকে। এ পরিস্থিতিতে তাকে পূর্ণাঙ্গ নারী বলা যায় না। যেহেতু সে ছোট, তার মানসিক গঠন পোক্ত নয়।

এ অবস্থায় তাকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করলে তার শারীরিক-মানসিক বিকাশের ক্ষতি হয়। তাই সবার ১৮ বছরের আগে বিয়ে নয়। আমাদের সরকার শাহানার অগ্রযাত্রার পাশে থাকবে এবং আমরা এই সংগ্রামে সফল হবো।

এরপর মন্ত্রী শাহানা কার্টুনের মোড়ক উন্মোচন করেন।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।