তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে আসছে নীতিমালা


প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

তামাক নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সোমবার মন্ত্রণালয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে এ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা দ্রুত প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ উন্নয়নের আন্দোলন নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে প্রশংসা অর্জন করেছেন তার মধ্যেও তামাকমুক্ত পরিবেশের ধারণা বিদ্যমান।

খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট স্টোকহোল্ডার এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করার জন্য মন্ত্রী এসময় নির্দেশনা প্রদান করেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, তামাকের আগ্রাসন যত বেশি প্রতিহত করা যাবে জনগণের স্বাস্থ্য তত বেশি সুরক্ষিত হবে। এদেশের জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সফল করতে হলে সমাজ থেকে তামাক দূর করতে হবে।

আগামী শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তির সময় ধূমপায়ী শিক্ষার্থীদের বিবেচনায় না আনার ঘোষণা পূণর্ব্যক্ত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে  মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাস করার পর শিক্ষার্থী ধূমপান ও মাদক মুক্ত কিনা সে বিষয়ে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মেডিকেল কলেজসমূহ এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে ধূমপানে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা জোরালোভাবে কার্যকর করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এমডিজি পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের নতুন কর্মসূচিতেও তামাক মুক্ত দেশ গড়ার কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা হবে।

সভায় ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, স্বাস্থ্য সচিব  সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) আবদুল মালেক, উবিনীগ এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তারসহ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, ঢাকা আহ্সানিয়া মিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।