তুরস্কের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচলে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ


প্রকাশিত: ১২:৪৭ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সরাসরি এয়ারফ্লাইট চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তুরস্কের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং অভিন্ন ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নিয়ে দু’টি ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, তুর্কি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (টিআইকেএ) বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকের ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করছে।

আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তুরস্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অনেক অফিসার তুরস্কে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

শেখ হাসিনা গত কয়েক বছরে কিছু বোমা হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতা দরকার। সম্প্রতি বোমা বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় তুর্কি জনগণের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

ওজতুর্ক বলেন, বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে তিনি দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণে কাজ করবেন। দু’দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেক্টরে পারস্পরিক সহযোগিতার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রূপকল্প-২০২১ এর প্রশংসা করেন।

তুর্কি দূত উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময় ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জেইসি)-এর বৈঠক অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেন। এর সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে।

তিনি দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ আরো বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। উভয় দেশের মধ্যে বর্তমানে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে।

সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।