করোনাভাইরাসে মারা গেলেন আরও ৪১ জন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ০১ জুলাই ২০২০

অডিও শুনুন

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট এক হাজার ৮৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৭৭৫ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৯ হাজার ২৯৮ জনে।

বুধবার (১ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি ৬৯টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ হাজার ৮৯৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৭ হাজার ৮৭৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো সাত লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৯ হাজার ২৯৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪১ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৮৮৮ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৪৮৪ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬২ হাজার ১০৮ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ৩৮ জন পুরুষ, তিনজন নারী। এদের মধ্যে ত্রি‌শোর্ধ্ব চারজন, চল্লি‌শোর্ধ্ব পাঁচজন,পঞ্চা‌শোর্ধ্ব ১২ জন, ষা‌টোর্ধ্ব ১১ জন, স‌ত্তরোর্ধ্ব সাতজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন এবং শতবর্ষী একজ‌ন রয়েছেন। ২৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে দুজন এবং রংপুর বিভাগে একজন।

গতকালের পরিস্থিতি
গত মঙ্গলবারের (৩০ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে আরও ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড। আর ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৬৮২ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় গত ২৯ জুনের বুলেটিনে।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
বুধবা‌রের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪১ দশমিক ৬১ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৯৫৫ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৫৪২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৫৫ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৯৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৪২৯ জনকে, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ৬৬ হাজার ২৯৫ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৪১৪ জন, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ দুই হাজার ৪১৩ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩ হাজার ৮৮২ জন।

ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেশবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরেন।

চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো করোনাভাইরাস বিপর্যস্ত করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৪ হাজারের বেশি। তবে ৫৮ লাখ ১২ হাজারের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

এমইউ/এইচএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।