পবিত্র আশুরা পালিত


প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সাড়ম্বরে ১০ই মহররম পবিত্র আশুরা পালন করেছে। সমাজে সত্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করার সময় হিজরি ৬১ সালের মহররম মাসের ১০ তারিখে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালার ময়দানে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর পৌত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) শাহদাতবরণ করেন।

তখন থেকে দিনটিকে ‘ত্যাগ ও শোকের’ প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়। আশুরাকে আরবি ভাষায় ‘দশম’ বলা হয়। দিনটিকে স্মরণ করার জন্য আক্ষরিক অর্থে একে আশুরা বলা হয়। এদিন ছিল সরকারি ছুটি, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র আশুরার উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বার্তায় বলেন, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য কারবালায় হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তার সঙ্গীদের এই আত্মত্যাগ ইতিহাসে সমুজ্জ¦ল হয়ে আছে। তিনি বলেন, কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মৃতিতে ভাস্বর পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে। সত্য ও সুন্দরের পথে চলার প্রেরণা যোগায়।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আশুরার মহান শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তার সঙ্গীদের আত্মত্যাগ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ্র জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দিনটি পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাজধানীতে শিয়া মুসলমানরা পুরাণ ঢাকার হোসনি দালানের ইমাম বাড়া থেকে এক বিশাল তাজিয়া মিছিল বের করে। এছাড়া, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও পুরাণা পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল বের করা হয়।

দিনের অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল কোরআন খানি, মিলাদ মাহফিল, রোজা এবং দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণ। চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটসহ সব প্রধান শহরগুলোতে, শিয়া মুসলমানরা ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ বলে তাজিয়া মিছিল বের করেছে।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।