পথচলা শুরু করলো ওয়ান ফার্মা
দেশের বাজারে গুণগত মানের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে পথচলা শুরু করলো ওষুধ খাতের নতুন প্রতিষ্ঠান ওয়ান ফার্মা। একই সঙ্গে মানব ও প্রাণীকূলের জন্য ওষুধ উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম যখন ওষুধের দাম ও ভেজাল নিয়ে বিরক্ত ঠিক সেই সময়ে কোম্পানিটির পথচলায় প্রতিশ্রুতি দিলো ভেজাল থেকে বিরত থাকার।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ২৮৭তম ওষুধ কোম্পানী হিসেবে ওয়ান ফার্মার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
ওয়ান ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সাংসদ এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম, ওষুদ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মে. জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমানে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ এর কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অনেক কোম্পানি বিদেশে ওষুধ রফতানি করছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও বাংলাদেশের ওষুধ যাচ্ছে। আশা করি, ওয়ান ফার্মা একদিন অনেক বড় হবে। তবে ওষুধ উৎপাদনে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে নিজেই কোম্পানিটির লাইসেন্স বাতিল করার কথাও বলেছেন তিনি।
কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। গুণগত ওষুধ উৎপাদন করব বলে কথা দিলাম। প্রাথমিকভাবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৪০টি জেলায় ওষুধ বাজারজাত করা হবে। ওষুধ কারখানাটি বগুড়াতে করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, দাম সহনীয় রেখে দরিদ্র্য মানুষের মাঝে ওষুধ পৌঁছে দিতে চাই আমরা। আর উন্নত প্রযুক্তির এবং ভ্যাকসিন ও ইনসুলিন উৎপাদন করতে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাবো।
মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওষুধ প্রশাসন আপনাদের সব ধরনের সহায়তা দিবে। তবে মানের সঙ্গে আপোষ করবেন না। আমরা আপনাদের পাশেই আছি।
এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, শুধু ওষুধ উৎপাদন নয়। এর সঙ্গে আমাদের কাচামাল উৎপাদনে যেতে হবে। আমদানিনির্ভর হয়ে থাকলে হবে না।
এসএ/এআরএস/পিআর