১২ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও কাঁপল চট্টগ্রাম, বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত?
ফের ভূমিকম্প। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই আবার কেঁপে উঠল চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকা। সোমবার (২২ জুন) ভোর ৪টা ২২ মিনিটে ৩৭ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মাঝারি ধরনের এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮।
এর আগে রোববার (২১ জুন) বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে ৫.১ মাত্রার এ মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পটির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। দুটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মণিপুর রাজ্যে। ফলে চট্টগ্রাম ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজধানী ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএস-জিএস জানিয়েছে, এবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিজোরামে দারলোয়ানের ভূমির ৪০ কিলোমিটার গভীরে। গত কয়েকদিনে এ মিজোরাম-মণিপুর এলাকায় কয়েক দফা ছোট ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গত বৃহস্পতিবারও (১৮ জুন) মিজোরামে ৫ দশমিক শূন্য মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ মে রাত ৮টা ৪৩ মিনিটে আরও একবার ভূমিকম্প অনুভব করেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ভূ-তত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃদু হালকা কিংবা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ইঙ্গিত বহন করে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের এক জরিপ অনুযায়ী, ভূ-স্তরের টেকটোনিক প্লেট ফাটলের কারণে ইউরেশিয়া ও ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের ভূমিকম্পের জোনের মধ্যেই রয়েছে চট্টগ্রাম। এ প্লেট দুটি অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ কারণে ঘন ঘন হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় ভূমিকম্প হচ্ছে।
ভূ-তত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের গবেষণা বলছে, ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, ঢাকা ও কুমিল্লা বেল্ট বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। টেকটোনিক প্লেটের একটি ফাটল বা ফল্ট লাইন চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূল হয়ে আন্দামান পর্যন্ত চলে গেছে। অনেকগুলো ভূ-ফাটল লাইন, ভূমিকম্পে উৎসস্থল (ইপি সেন্টার) চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে কাছাকাছি অবস্থানে সক্রিয় রয়েছে।
আবু আজাদ/বিএ/জেআইএম