পশুর হাট-কোরবানির স্থান নির্ধারণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ২১ জুন ২০২০

করোনাভাইরাসের এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও নিরাপদ দূরত্ব বাজায় রেখে কীভাবে পশুর হাট বসবে, ঈদের দিন নির্ধারিত স্থানে কীভাবে কোরবানি করা হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুন)।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ আগস্ট দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা মহান আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করে তার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন।

এই ঈদ ঘিরে সারাদেশেই কোরবানির পশুর হাট বসে। এছাড়া দূষণ রোধে শহর এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে কোরবানির স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ঈদুল ফিতরের পরপরই মূলত পশুর হাট ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের পর প্রায় এক মাস হলেও এখনও এ বিষয়ে সভা ডাকেনি স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ রোববার (২১ জুন) বিকেলে জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার তো অন্যান্য বছরের মতো যেখানে সেখানে গরুর হাট বসানো যাবে না। করোনার প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয় আছে যেমন- হাত ধুতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এবার তো আমরা একটি মন্ত্রণালয় এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।’

তিনি বলেন, ‘এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে- এবার কীভাবে পশুর হাট বসবে, নির্দিষ্ট স্থানে কীভাবে পশু কোরবানি হবে।’

হেলালুদ্দীন আহমদ আরও বলেন, ‘আমরা একটি স্থানে গরুর হাট বসিয়ে দিলাম, সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা হলো না। সেটা তো হলো না, এ বিষয়ে তো নজরদারি করতে হবে। হাটের মাধ্যমে যদি করোনাভাইরাস ছড়ায় সেটা তো হবে আরেকটা সমস্যা। সব কিছু বিবেচনা করেই আমরা আগামী ২৫ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছি। সেই সভায় যা সিদ্ধান্ত হবে আমরা সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেই ঠিক করব- কোথায়-কীভাবে পশুর হাট বসবে না বসবে।’

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভাটি হবে বলেও জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব।

গত বছর ঈদুল আজহার সময় দেশের ১২ সিটি করপোরেশনে পশু কোরবানির জন্য দুই হাজার ৯৪১ স্থান নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছিলেন সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। যদিও নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার ক্ষেত্রে মানুষের সাড়া তেমন মেলে না।

আরএমএম/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।