বেরোবির চিকিৎসা কেন্দ্রের বেহাল দশা


প্রকাশিত: ০৫:৪৬ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে দুজন চিকিৎসক ও একজন নার্স দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাত বছর পার হলেও জনবল কম থাকায় শিক্ষার্থীরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। শিগগির চিকিৎসক নিয়োগ ও সেবার মান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে এক শতাধিক রোগী দেখতে রয়েছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক। তাদের একজন খণ্ডকালীন চুক্তিভিত্তিক এবং অপরজন দন্ত চিকিৎসক। সাপ্তাহিক ছুটি বাদে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা নিতে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে হয়। এতে যেকোনো সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন।

সরজমিনে দেখা যায়, দন্ত চিকিৎসক হয়েও এ এম এম শাহরিয়ার সব রোগীকেই ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আরেক চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকাকালীন আমাকেই সব দেখতে হয়। আমার সব বিষয়েই প্রাথমিক ধারণা রয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসা কেন্দ্রটির অবকাঠামো উন্নয়ন নেই। রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় শয্যা ও চিকিৎসা সরঞ্জামও নেই। তাছাড়া কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও তা ব্যবহার অনুপযোগী।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জাগো নিউজকে জানান, অধিকাংশ সময় চিকিৎসকরা তাদের বাইরে থেকে ওষুধ সরবরাহ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেন।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী মনিরা জাগো নিউজকে জানান, রাতে চিকিৎসা সেবা না থাকায় তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এজন্য সেবার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ওই শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম জাগো নিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওয়াকিবহাল। সঙ্কট নিরসনে শিগগিরই নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে।

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।