চাঁদপুরে আমন ক্ষেতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ


প্রকাশিত: ০৪:১৮ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রোপা আমন ধান ক্ষেতে ব্যপকভাবে ‘পাতা মোড়ানো’ পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এ পোকার আক্রমণের প্রভাব বেশি। পোকার আক্রমণ থেকে আমন রক্ষায় নানা রকম চেষ্টা চালিয়েও কোনো ফল না পেয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

উপজেলাগুলোর বিভিন্ন ইউনিয়নে মাঠের পর মাঠ পোকার আক্রমণে আমন ধানের পাতা বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পোকার আক্রমণে ধান গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে সাদারূপ ধারণ করছে। কচুয়া উপজেলায় উত্তর গোহট, কড়ইয়া, গোহট দক্ষিণ ও আশরাফপুর ইউনিয়নের কয়েকশ হেক্টর জমি পোকার আক্রমণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকরা পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ঔষধ স্প্রে করে, জমিতে গাছের ডাল পুঁতে এবং বাঁশের কঞ্চিতে খড় বেঁধে জমিতে পুঁতে ধান রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পোকার আক্রমণে চলতি বছর রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাঁদপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আলী আহমদ জাগো নিউজকে পোকা আক্রমণের কথা স্বীকার করে জানান, কৃষকদের জমিতে প্রতি ৫ শতকে তরল কীটনাশক ঔষধ কারটাপ, ক্লোরোফাইরিকস ও কেরাটে প্রতি ১০ মিটার পানিতে ২০ মিলিলিটার মিশিয়ে স্প্রে করে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া জমিতে কাটা ডাল পুতে রাখতে ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়ে পোকার বাসা ভেঙে দিতে পরামর্শ দিয়েছেন।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জাগো নিউজকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগ ও কাটা ডাল পুতে রাখার জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তার মতে কাটা ডালসহ নির্দেশিত তরল কীটনাশক যথা নিয়মে প্রয়োগ করা হলে শীঘ্রই পাতা মোড়ানো রোগ দূর হয়ে যাবে।

ইকরাম চৌধুরী/এমজেড

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।