প্রতিমা বিসর্জনে সৈকতে বসবে মিলনমেলা


প্রকাশিত: ১২:১৬ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটছে আজ। তাই এ বিসর্জনকে ঘিরে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ সম্প্রীতির মিলনমেলা বসবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। শুক্রবার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রনজিত দাশ বলেন, দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুপুর আড়াইটা থেকে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকঢোল বাজিয়ে, সংগীতের মুর্ছনায় নেচে-গেয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিমা নিয়ে উপস্থিত হবেন সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে।

এরই মধ্যে সমাপনী অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। সৈকতের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বিসর্জনোত্তর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের।


জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বলেন, সূর্যাস্তের আগে সমুদ্র সৈকতের মুক্তমঞ্চে গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জনোত্তর অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ সমাপনী অনুষ্ঠানের পর ধারাবাহিকভাবে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে। এটি সনাতন ধর্মালম্বীদের অনুষ্টান হলেও কালের পরিক্রমায় সবধর্মের লোকজন বিসর্জন অনুষ্ঠানে হাজির হন।

ভক্ত, পূজার্থী, দর্শনার্থী ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতিতে এটি সম্প্রীতির মিলনমেলায় পরিণত হবে এবারো। তিনি আরো বলেন, সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার প্রত্যয় আবারো ঘোষিত হবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সুত্র জানায়, কক্সবাজার সৈকতের মতো চকরিয়ার মাতামুহূরী, রামুর বাঁকখালী, টেকনাফর সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে।


কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে আগত পূজার্থী ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতে পুরো এলাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন তৎপর থাকবে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা থাকবে।

সায়ীদ আলমগীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।