এএসআই ইব্রাহিম হত্যা : খুনের স্থান শনাক্ত করেনি পুলিশ


প্রকাশিত: ০৯:২৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৫

দারুস সালাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মোল্লা খুন হওয়ার ৬ ছয় ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও খুনের স্থান শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি ক্রাইম সিন সংগ্রহ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ‍দুই দুর্বৃত্তের ব্যাগ তল্লাশি করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন হন এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা।

পুলিশ জানিয়েছে, বগুড়া থেকে আসা একটি বাসে গাবতলীতে অবতরণ করে দু’জন। গাবতলী পর্বত সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে আসা মাত্র পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়ে আগন্তুক ওই দুজন। তল্লিশিকালে ছুরিকাঘাতের শিকার হন ইব্রাহিম মোল্লা।

পুলিশ মাসুদ রানা নামে একজনকে আটক করতে পারলেও মূলহোতা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ সদস্যরা গুরুতর আহতাবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান ইব্রাহিম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো খুনের ঘটনায় আলামত নষ্ট হওয়ার আগেই খুনের স্থান শনাক্ত ও ক্রাইম সিন সংগ্রহ করে থাকে সিআইডি ও ডিবি পুলিশ। তবে এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়ার ছয় ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও খুনের স্থান শনাক্ত করেনি পুলিশ। শুধু তাই নয় ক্রাইম সিনও সংগ্রহ করা হয়নি বলে জানা গেছে।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে দারুস সালাম থানায় আটক মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) কাইয়ুমুজ্জামান। সাড়ে ১২টার দিকে আসেন যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) কৃষ্ণপদ রায়।

জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান। খুনের ঘটনায় কেন এখনো খুনের স্থান শনাক্ত করা হয়নি এবং কেন এখনো ক্রাইম সিন সংগ্রহ করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইব্রাহিমকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম। সেখান থেকে থানায় আসতে হয়েছে।

তিনি বলেন, অবশ্য ক্রাইম সিন সংগ্রহ ও স্থান শনাক্তকরণ কাজটা জরুরি। এটা কিছুক্ষণের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, নিহত এএসআই ইব্রাহিম মোল্লার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার সোনারকুলি ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে। বউ এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন ৪৮/৩ বর্ধবাড়ি এলাকার একটি বাসার পাঁচতলায় থাকতেন তিনি। গত দেড় বছর যাবত তিনি দারুস সালাম থানায় কর্মরত।

জেইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।