২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ৩১৮৭ জনের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ১১ জুন ২০২০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হিসেবে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ১৮৭ শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে মোট ৭৮ হাজার ৫২ জনের মধ্যে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। ফলে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৪৯ জনে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ হাজার ১১৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৭৭২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো চার লাখ ৫৭ হাজার ৩৩২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১৮৭ জনের মধ্যে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮ হাজার ৫২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। আগের দিনও সমানসংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৪৯ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৪৮ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৬ হাজার ৭৪৮ জন।

নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের ৩০ জন পুরুষ, সাতজন নারী। ২০ জন ঢাকা বিভাগের, সাতজন চট্টগ্রাম বিভাগের, চারজন রাজশাহী বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের, দুজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন রংপুর বিভাগের। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ২২ জন এবং সত্তরোর্ধ্ব একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাসার মারা গেছেন নয়জন।

গত বুধবারের (১০ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন মারা গেছেন। ১৫ হাজার ৯৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১৯০ জনের মধ্যে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু হয়েছে সমানসংখ্যক। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৪৫ জনের মৃত্যুর রেকর্ড আছে, যা গত ৯ জুনের বুলেটিনে জানানো হয়।

বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১০ শতাংশ। শনাক্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৬৭১ জনকে এবং এ প‌র্যন্ত আই‌সো‌লেশনে নেয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৬৩৭ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৫৫জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৮৭৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন আট হাজার ৭৬৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন হাজার ১৬১ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ১২ হাজার ৩৪৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮৭৩ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৫ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৮ হাজার ৯৯৯ জন।

বুলেটিনে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে।

করোনাভাইরাসের ছোবলে এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গোটা বিশ্ব। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পৌনে ৭৫ লাখের মতো। মৃতের সংখ্যা চার লাখ ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।

পিডি/এমইউ/এইচএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।