অভিনন্দন মুনিয়া ও তিতান
দুটি ভিন্ন আমেজের চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। তার একটি অনন্য মামুনের ‘ভালোবার গল্প’ মুক্তি পাচ্ছে ৫১টি সিনেমা হলে। আর অন্যটি রাকিবুল আলম রাকিব পরিচালিত ‘নগর মাস্তান’ মুক্তি পাবে প্রায় শতাধিক সিনেমা হলে।
এই নতুন দুটি ছবির গল্প আলাদা, পাত্র-পাত্রী আলাদা, নির্মাণ আলাদা। তবে একটি জায়গায় দারুণভাবে মিলে গেছে ‘ভালোবাসার গল্প’ ও ‘নগর মাস্তান’। সেটি হলো এই ছবি দুটি দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটছে মুনিয়া আফরিন ও তিতান চৌধুরী নামে দুই নায়িকার।
তাই স্বাভাবিকভাবেই নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই দুই সুন্দরী। তাদের নিয়ে চলছে নানা রকম আলোচনা-বিশ্লেষণ। কে টিকে থাকবেন, কেই বা এগিয়ে যাবেন কাকে রেখে?
আপাত দৃষ্টিতে গল্প-নির্মাণ ও চরিত্রের গুরুত্ব বলছে মুনিয়াই এগিয়ে রইবেন তিতানের থেকে। কারণ ভালোবাসার গল্পে মুনিয়াকে দেখা যাবে মূল নায়িকার ভূমিকায়। যেখানে তিনি কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন আনিসুর রহমান মিলনের মতো প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার বিপরীতে। পাশাপাশি ত্রিভূজ প্রেমের এই গল্পে চিত্রনায়ক কায়েস আরজুও অভিনয় করেছেন মুনিয়ার বিপরীতে।
অন্যদিকে তিতান নগর মাস্তান ছবিতে কাজ করেছেন একটু কম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। কারণ এ ছবিতে আরেক নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে পরীমনিকে। যার বিপরীতে থাকছেন শাহরিয়াজ। আর তিতানকে দেখা যাবে জায়েদ খানের বিপরীতে। তবে নিজের অভিনয়গুণ আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে চলচ্চিত্রের পথে অনেক দূরে যেতে চান এই তরুণ তুর্কী।
এদিকে নিজের প্রথম ছবি নিয়ে মুনিয়া বলেন, ‘অনেক নার্ভাস লাগছে। সেইসাথে উত্তেজনাও কাজ করছে। জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তি, প্রথম স্বপ্ন পূরণ। আমি নিজের সাধ্যের সবটুকু দিয়েই চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করতে। মিলন ও আরজু ভাই অনেক হেল্প করেছেন। আর পরিচালক মামুন ভাইয়ের কথা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক যত্ন নিয়ে ছবিটি বানানো হয়েছে। আশা করছি প্রথম ছবিতেই সাফল্য পাবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আর অবশ্যই প্রিয় মানুষদের সঙ্গে নিয়ে হলে গিয়ে ছবিটি দেখে আসবেন।’
আর প্রথম ছবি মুক্তির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিতান তার ফেসবুকে লিখেছেন বিশাল এক আবেগঘন স্ট্যাটাস। এছাড়াও তিতান বললেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে আমার অভিনীত প্রথম ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ছবিটিতে দেখা যাবে আমি খুব গরীব ঘরের মেয়ে। দেখতে সুন্দর হওয়াতে মহল্লার ডনের খারাপ নজর পড়ে আমার দিকে। তারপর শুরু হয় নানা রকমের অত্যাচার। এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় ছবিটির কাহিনী। আমি আশাবাদী ছবিটি দর্শকদের ভালো লাগবে। একইসাথে আমার বিশ্বাস এই ছবির মধ্য দিয়ে আমি দর্শকদের মনে একজন পরিপূর্ণ নায়িকা হিসেবে জায়গা করে নিতে পারবো। আমার জন্য দোয়া করবেন। আর নগর মাস্তান দেখার জন্য সবার কাছে আমন্ত্রণ রইলো।’
এস. এস মাল্টিমিডিয়া হাউজ প্রযোজিত অনন্য মামুনের পরিচালনায় চতুর্থ এই চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করেছেন তানিয়া মির্জা, মিশা সওদাগর, ডন, মাশুক, মুনিরা মিঠু, অর্ণবসহ আরো অনেকে।
আর নগর মাস্তানে তিতান-জায়েদ, পরী-শাহরিয়াজের পাশাপাশি দেখা যাবে মিশা সওদাগর, আলীরাজ, রাফজান জানি প্রমুখকে।
সে যাই হোক, আমাদের প্রত্যাশা দুই নায়িকাই মুগ্ধ করবেন দর্শকদের। টিকে যাবেন শিল্পী সংকটের এই অসময়ের চলচ্চিত্রে। নির্মাতাদের সঠিক নির্দেশনা, ভালো গল্প ও চরিত্র দিয়ে মুনিয় ও তিতান হয়ে উঠুন আমাদের আগামীর শাবনূর-মৌসুমী। তাদের অভিবাদন।
এলএ