পাপুলকে ‘ব্যবসায়িক আলোচনায়’ নিয়েছে কুয়েতের সিআইডি, দাবি স্ত্রীর
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে সেখানকার সিআইডি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার স্ত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সেলিনা ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি সেখানে কোনো মামলার আসামি নন। কুয়েত সরকার স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী তার ব্যবসায়িক বিষয়ে আলোচনার জন্য তাকে সরকারি দফতর বা সিআইডিতে ডেকে নিয়েছে।
রোববার (৭ জুন) পাপুলকে কুয়েতের সিআইডিতে নিয়ে যাওয়ার পর জাতীয় সংসদের প্যাডে এক বিবৃতিতে সেলিনা ইসলাম এ দাবি করেন। যদিও কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম বলেছেন, কী কারণে এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা তাদের জানা নেই।
বিবৃতিতে সেলিনা ইসলাম বলেন, প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, শহিদ ইসলামকে কুয়েতে সেখানকার সিআইডি বা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগও বলা হচ্ছে গণমাধ্যমের রিপোর্টে। প্রকৃতপক্ষে শহিদ ইসলাম কুয়েতে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি খ্যাতনামা মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও। এই কোম্পানির কুয়েতি অংশীদারও রয়েছেন।
‘এই প্রতিষ্ঠানে ২৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য দেশের মতো কুয়েতেও তিন মাস ধরে লকডাউন চলছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক অভিবাসী কর্মী বেকার হয়েছেন। তাদের কেউ কেউ সরকারি দফতরে অভিযোগ করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে কুয়েতের সরকারি দফতর বা সিআইডি তাকে আলোচনার জন্য ডেকেছে।’
বিবৃতিতে এ নারী সংসদ সদস্য আরও বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস বা রাষ্ট্রদূত বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত এবং কুয়েতের সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
তাই কুয়েতের সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো বিবৃতি, সিদ্ধান্ত বা তথ্য ছাড়া এ বিষয়ে কোনো ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য বা সংবাদ প্রচার না করতে অনুরোধ জানান সেলিনা ইসলাম।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, তাকে (শহিদ ইসলাম পাপুল) কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা আমাদের এখনো জানা নেই। কুয়েত কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু বলেনি। আমরা তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এখানকার প্রায় সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় চিঠির জবাব কখন পাবো বলা যাচ্ছে না।
জেপি/এইচএ/এমএস