প্রশ্ন ফাঁসে ৪ বছরের দণ্ড আসছে
প্রশ্নপত্র ফাঁস করলে চার বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদকাল হবে দুই বছর, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে প্রাথমিক শিক্ষা-এমন অনেক বিধান সংবলিত একটি প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের ব্যাপারে জনগণের মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বুধবার এ আইনের একটি খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। আর এ মতামত দেয়া যাবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রস্তাবিত আইনে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা হবে শিশুদের চার থেকে ছয় বছর পর্যন্ত অর্থাৎ দুই বছর মেয়াদি। আর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ন্যূনতম বয়স হবে ছয় বছর। প্রাথমিক শিক্ষা হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। মাধ্যমিক স্তর হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত আইনে প্রশ্নপত্র ফাঁস করলে চার বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
শিক্ষানীতির আলোকে প্রস্তাবিত আইনেও একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। মূলত শিক্ষানীতিতে যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলোই প্রস্তাবিত আইনে স্থান পেয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এই আইন হলে এরপর এ বিষয়ে বিধিমালা করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে এই আইনের খসড়া নিয়ে শুধু টানাটানিই চলছে। কিন্তু আইনটি আর চূড়ান্ত হয়নি। এ কারণে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
এআরএ/আরআইপি