কিবরিয়া হত্যা মামলা : সাক্ষ্য দিলেন ৩ জন
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল হোসেন ৩ সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এনিয়ে এই মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
বুধবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আদ্যপাশা গ্রামের আবদুল মতিন, একই উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আবদুল কাইয়ূম ও লস্করপুর গ্রামের ঈমান আলী সাক্ষ্য প্রদান করেন।
সাক্ষিদের দুই জন ওই ঘটনায় গ্রেনেডের স্প্রিন্টারে আহত হয়েছিলেন এবং অপরজনের বাবা ওই গ্রেনেড হামলায় আহত হন বলে আদালত সূত্র জানায়।
বেলা পৌনে ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এই ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২৮ ও ২৯ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন বলে জানান ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর।
সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষ্যে বুধবার মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হবিগঞ্জের বরখাস্থকৃত পৌর মেয়র জিকে গউছ, হুজি’র শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত আছেন।
এ হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে-১৪ জন কারাগারে, ৮ জন জামিনে এবং ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
তবে মামলার অপর আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্থকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অসুস্থ থাকায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. লালা শুনানিতে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। ওই মামলায় মোট ১৭১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষগ্রহণ করা হলো।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন কিবরিয়া।
এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাংসদ আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুলাহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/আরআইপি