পিআইডি কর্মচারীর পকেটে বিস্ফোরিত হলো সিম্ফনি মোবাইল
তথ্য অধিদফতরের (পিআইডি) একজন কর্মচারীর পকেটেই বিস্ফোরিত হলো সিম্ফনি মোবাইল ফোন। প্যান্ট ও পা সামান্য পুড়ে গেলেও বড় ধরনের ক্ষতি থেকে বেঁচে গেছেন তিনি।
এই কর্মচারীর নাম মো. তোফায়েল হোসেন, তিনি অফিস সহকারী। দুপুরে তথ্য অধিদফতরের তৃতীয় তলায় প্রধান তথ্য কর্মকর্তার একান্ত সচিব আমিনুল ইসলামের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরিত সিম্ফনি মোবাইল ফোনটির মডেল ভি-৭৫, এটি অ্যান্ড্রোয়েড ফোন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তোফায়েল আমার রুমে একটা কাজে এসেছিল। সে আমার টেবিলের সামনের সোফায় বসেছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ হল, সঙ্গে সঙ্গে তার প্যান্টে আগুন লেগে গেল। ওখানে উপস্থিত সবার চেষ্টায় দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেললাম। বিস্ফোরিত মোবাইলটি নিচে পড়ল। তার পায়ের কিছু অংশ পুড়ে গেল।’
তিনি বলেন, ‘সবার ভাগ্য ভালো যে বড় ধরনের ইনজুরি হওয়া থেকে সবাই বেঁচে গেলাম। আমরা এতদিন ফেসবুকে, অনলাইনে এগুলো পড়তাম, দেখলাম। কিন্তু আজ আমার চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটল। চোখের সামনে না ঘটলে হয়তো এটাকে গল্পই মনে হতো।’
ঘটনার পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের সেখানে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। তিনি বলেন, গিয়ে দেখি তোফায়েলের প্যান্ট পোড়া, পায়েরও কয়েকটি স্থানে পুড়ে গেছে। সে বলল হঠাৎ করে পকেটে রাখা মোবাইলের বিস্ফোরণে তার এই অবস্থা হয়েছে। আমি গিয়ে দেখি বিস্ফোরণের কারণে মোবাইলের বিভিন্ন স্থানে পোড়া দাগ, ব্যাটারিটি ফুলে আছে।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এডিসন গ্রুপের (সিম্ফনি) গণসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদ আইয়ুব রূপক জাগো নিউজকে বলেন, ‘একটা ইনসিডেন্স হয়েছে, আমরা অলরেডি তোফায়েল সাহেবের হাতে একটি জেড-১৫ মডেলের ফোন পৌঁছে দিয়েছি। আর তার ফোনটি আমরা ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুব দুঃখজনক। ভি-৭৫ মডেলের ফোনটি আমরা প্রায় ১১ লাখের মতো বিক্রি করেছি। এই একটি মাত্র কমপ্লেইন এসেছে আমাদের কাছে।’
এর আগেও সিস্ফনি মোবাইল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালে নিম্নমানের হ্যান্ডসেট বিক্রি করে প্রতারণার জন্য মোবাইল ফোনের দেশীয় ব্র্যান্ড সিম্ফোনি তৈরির প্রতিষ্ঠান এডিসন গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
আরএমএম/এসএইচএস/এমকেএইচ