রাতেও সরব হচ্ছে নীরব ঢাকা
দুই মাসেরও বেশি সময় পর রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঢাকা সিটি করপোরেশনের রাস্তার বাতিগুলো জ্বলে উঠেছে। কয়েকদিন আগেও অধিকাংশ রাস্তার নিয়ন ও টিউববাতিগুলো বন্ধ থাকার পাশাপাশি এসব রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল একেবারেই না থাকায় সুনসান নীরবতা বিরাজ করত। কিন্তু আজ রাতের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন।
শনিবার (৩০ মে) রাত ৮টায় সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বিগত কয়েক দিনের চেয়ে আজ রাতে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি ও যানবাহনের চলাচল অনেক বেশি। এতদিন সন্ধ্যার পরে ওষুধের ফার্মেসি ছাড়া অন্য কোনো দোকানপাট খোলা থাকত না। কিন্তু আজ বেশকিছু এলাকায় কনফেকশনারি ও ফলমূলসহ বেশকিছু দোকানপাট খোলা দেখা যায়। রাস্তায় লোকজন খোশগল্প করছেন। রাস্তাঘাটে এতদিন রাতের বেলা ভারী ট্রাক ছাড়া কিছুসংখ্যক প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেলেও আজ অন্যদিনের তুলনায় অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
দুই মাসেরও বেশি সময় সরকার ঘোষিত ছুটি শেষে রোববার (৩১ মে) থেকে ছোট-বড় বিভিন্ন মার্কেটের দোকানপাট ও শপিংমল খুলছে। এ কারণে আজ দিনভর বিভিন্ন মার্কেটের দোকানিরা দোকানপাট ধৌত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সন্ধ্যার পরেও অনেক মার্কেটের দোকানিকে দোকান খোলা রাখতে দেখা যায়।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। এই অবস্থায় রোববার থেকে গণপরিবহনে চালু হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ডসংখ্যক আরও ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬১০ জনে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৬৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৬০৮ জনে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৬০জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৮৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় মৃত ২৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, রংপুরে ২ জন ও সিলেটে ১ জন।
এই ২৮ জনের মধ্যে হাসপাতালে ২৬ জন ও বাসায় দুইজনের মুত্যু হয়। এলাকাভেদে ঢাকা শহরে ১০ জন, ঢাকা জেলায় ১ জন, নারায়ণগঞ্জে ১ জন, মুন্সিগঞ্জে ১ জন, গাজীপুরে ১ জন, ফরিদপুরে ২ জন, নরসিংদীতে ২ জন, চট্টগ্রাম শহরে ২ জন, কক্সবাজারে ২ জন, কুমিল্লায় ২ জন, পঞ্চগড়ে ১ জন, রংপুরে ১ জন এবং সিলেটে ১ জন মৃত্যুবরণ করেন।
এমইউ/এসআর