৪৫ গণমাধ্যমকর্মী পেলেন মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড


প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৫

গণমাধ্যমে শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদ প্রকাশে অবদান রাখায় ১১টি বিভাগে ৪৫ গণমাধ্যমকর্মীকে সম্মাননা(মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড) দিয়েছে ইউনিসেফ। মঙ্গলবার এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

সৃজনশীল ও সাংবাদিকতায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও রেডিও মাধ্যমে অবদান রাখা নির্দিষ্ট বয়সসীমার গণমাধ্যমকর্মীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে কার্যকরভাবে শিশু অধিকারকে সমুন্নত রাখার কাজে অনবদ্য ভূমিকা পালনকারী এনিমেটেড কার্টুন চরিত্র ‘মীনা’ সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক। বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ও নাট্য উপস্থাপনার মাধ্যমে শিশুদের কণ্ঠস্বর এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত অভিনেত্রী আরিফা জামান মৌসুমী এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহাকারী প্রধান লুইস ভনো, জুয়েল আইচ পুরুস্কার প্রাপ্তদের ক্রেস্ট, পুরস্কারের টাকা এবং সনদপত্র বিতরণ করেন।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইন বলেন, মীনার বাবা-মা সবই ইউনিসেফ। এই মীনা ১৯৯১ সাল থেকেই বালীকাদের প্রতিনিধিত্ত্ব করে।

তিনি আরো বলেন, কোনো একটি জঙ্গি সংগঠন হুমকি দিয়েছে মেয়েরা গণমাধ্যমে কাজ করতে পারবেনা। তিনি বলেন এইটা জঙ্গি ও তেতুল হুজুর (আল্লাহমা আহাম্মেদ সফি) কথা।

তিনি হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, দেশে নারীরা কাজ করবে জঙ্গিরা নয়। দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যই নারীদের অংশগ্রহণ জরুরী।

দেশের রাজনৈতিক সংগঠনসমুহ নারী পুরুষের বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে ততটা গুরুত্ব দেয়নি। গুরুত্ব না দেওয়ার  কারণে নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, আমারা প্রতিনিয়ত চারটি জিনিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। তা হলো, দারীদ্রতা, লিঙ্গ বৈষম্য, পরিবেশ রক্ষা এবং জঙ্গিবাদ।

অংশগ্রহণকারী এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে লুইস ভনো বলেন, প্রতিবছরই এ অনুষ্ঠানটি নিজে নিজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে। কারণ প্রতিবছরই আগের বছরের চেয়ে ১০০টির বেশী প্রতিবেদন জমা পড়ে। যা শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একনিষ্ঠভাবে তুলে ধরে। আপনাদের কাজের স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা গর্বিত।

প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার বিজয়ীরা যথাক্রমে ৫০ হাজার, ২৫ হাজার এবং ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট পান।

সৃজনশীল লেখক, প্রবীন সংবাদকর্মী, অডিও-ভিজ্যুয়াল বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষাবিদ সমন্বয়ে গঠিত আট-সদস্য বিশিষ্ট বিচারকমণ্ডলীর একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল জুরি হিসেবে কাজ করেন।

প্রতিযোগীদের নামের পরিবর্তে  নির্দিষ্ট কোড নম্বর ব্যবহার করা হয় এবং বিচারকদের দেয়া নম্বরের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।

বিচারকমণ্ডলীর মধ্যে ছিলেন সেলিনা হোসেন, ফরিদ হোসেন, রোবায়েত ফেরদৌস, ফাহমিদুল হক, জাকির হোসেন রাজু, সামিয়া জামান, রতন পাল এবং কাদির কল্লোল।

এএম/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।