অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ওইভাবে ছিল না : ফায়ার ডিজি
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডকবলিত করোনা আইসোলেশন ইউনিটের (তাঁবু গেড়ে স্থাপিত) অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ওইভাবে ছিল না। কিন্তু ইউনিটের কাছেই ফায়ার হাইড্রেন্ট ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বোধ হয় ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করতে পারেনি।
বুধবার (২৭ মে) রাতে অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ডিজি বলেন, ৯টা ৫৫ মিনিটে আগুনের সংবাদ পেয়ে ১০টা ৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট মূল ভবনের পেছন দিকে এক্সটেনশন অংশে লাগা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তাদের ফায়ার হাইড্রেন্ট ছিল তবে আমরা নিজেরাই সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের সরঞ্জাম দিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি।
মৃত্যুবরণকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। যারা মারা গিয়েছেন, তারা করোনা রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ঘটনায় আর কোনো হতাহত বা আহত নেই। অন্যান্য ইউনিটের যেসব রোগী রয়েছেন, তাদের কোনো সমস্যা হয়নি, তারা অক্ষত আছেন।’
আগুনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারণ তদন্তের পর বলা যাবে।’
ইউনাইটেড হাসপাতালের আগুনের নেভানোর সক্ষমতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এই হাসপাতালে মহড়া করেছি, যেই স্থানটিতে আগুন লেগেছে মহড়ার জন্য এই জায়গাটিও ব্যবহার করেছি।’
অবশ্য হাসপাতালের কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ডা. সাগুফা আনোয়ার দাবি করেন, বৈদ্যুতিক শট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তিনি বলেন, আগুন লেগেছে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে। করোনা রোগীদের জন্য পাঁচ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে মূল ভবনের বাইরে একটি একতলা ভবনে। সেখানে চারজন রোগী ভর্তি ছিলেন। রাতে হঠাৎ সেখানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।
এআর/এইচএ/বিএ