আগুন নেভাতে নিজস্ব তৎপরতা ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের!
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পর কর্তৃপক্ষের কাউকে নিজস্ব আয়োজনে আগুন নেভাতে প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন সেখানে চিকিৎসাধীন এক রোগীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক।
ওই ব্যক্তি বলেন, বুধবার (২৭ মে) আনুমানিক রাত ৯টা ২০ মিনিটে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে (মূল ভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে স্থাপিত) আগুনের সূত্রপাত হয়। শুরুর দিকে আগুনের ভয়াবহতা না থাকলেও সে সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে নিজস্ব আয়োজনে তা নেভানোর প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায়নি। ঘণ্টাখানেক পরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা হাসপাতালে এসে আগুন নেভান। তারা আরও আগে এলে আগুন সহজেই নিভিয়ে ফেলা যেত।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগলে খবর পেয়ে তাদের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন মাত্র ১০ মিনিট স্থায়ী হলেও এতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন।
ওই গাড়ি চালকের দাবি, কমপক্ষে ৫-৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার শুরু থেকেই তিনি আগুন লাগার দৃশ্যটি ভিডিওতে ধারণ করেছেন। তার ভিডিওতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন আসেন সে দৃশ্যও দেখা যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল জাগোনিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের জানানো হয়েছে এসির বিস্ফোরণের কারণেই আগুন লেগেছে। আগুনে পাঁচজন মারা গেছেন। আগুন হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে লেগেছিল।
অবশ্য হাসপাতালের কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ডা. সাগুফা আনোয়ার দাবি করেন, বৈদ্যুতিক শট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তিনি বলেন, আগুন লেগেছে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে। করোনা রোগীদের জন্য পাঁচ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে মূল ভবনের বাইরে একটি একতলা ভবনে। সেখানে চারজন রোগী ভর্তি ছিলেন। রাতে হঠাৎ সেখানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।
এমইউ/এইচএ/বিএ