ক্ষতি কাটাতে আর্থিক প্রণোদনা ও ঋণ প্রদানে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ২২ মে ২০২০

সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ এর প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের জরুরিভিত্তিতে নগদ আর্থিক সহায়তাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে ‘আম্ফান’-এর প্রভাবে মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির ক্ষয়-ক্ষতির প্রাথমিক বিবরণ পাওয়া গেছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতকরণে যাচাই-বাছাই চলছে। চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তদুপরি ‘আম্ফান’ এর প্রভাবে এ খাত সংশ্লিষ্টরা আরও হতাশ হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাণিজ পুষ্টির যোগানদাতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়বে, যার প্রভাব গোটা জাতির উপর পড়বে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্র্রণালয় ‘আম্ফান’ এর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ খাতের চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের নগদ আর্থিক প্রণোদনাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ হতে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী আম্ফানে মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৩০৫ কোটি ৫০লক্ষ টাকা এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ১ কোটি ০৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৫০টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারের সংখ্যা ৫০ হাজার ১৩৮টি।

এইউএ/এনএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।