মীর কাসেমের রায় আজ


প্রকাশিত: ০২:২৫ এএম, ০২ নভেম্বর ২০১৪

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ রোববার।

চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বৃহস্পতিবার সকালে মীর কাসেম আলীর মামলার রায় ঘোষণার জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।

এটি হবে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একাদশ রায়। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মীর কাসেম আলীকে ১৪টি ঘটনায় অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ওপেনিং স্টেটমেন্ট উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়। এর পর ১১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

২০১২ সালের ১৭ জুন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মীর কাসেমকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বছরের ১৬ মে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। এর পর ২৬ মে তা আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মীর কাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর পর মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই ১৮ নভেম্বর প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমনের ওপেনিং স্টেটমেন্টের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুনানি।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামসহ মোট ২৪ জন। সাক্ষ্য শেষে এদের সবাইকে জেরা করে আসামিপক্ষ।

এর পর ২১ ও ২২ এপ্রিল মীর কাসেম আলীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন তিনজন সাফাই সাক্ষী। তারা হলেন— মীর কাসেম আলীর ছোট বোন মমতাজ নুরুদ্দিন, চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও চট্টগ্রামের উত্তর হালিশহরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান। সাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।

গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

এর পর ২৯, ৩০ এপ্রিল ও ৪ মে কাসেম আলীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন। সমাপনী যুক্তি উপস্থাপন শেষে চলতি বছরের ৪ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।