মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস : তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএমএ
মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। বিএমএর ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি আবদুর রউফ সর্দারের নেতৃত্বে কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বিএমএর দফতর সম্পাদক ডা. চিত্তরঞ্জন দাস ও কার্যকরী সদস্য মোসাদ্দেক আহমেদ।
কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। তদন্ত কমিটির কার্যক্রমে সহায়তা করতে চিকিৎসা পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, এমন একজন আইটি বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেয়া হবে। বিএমএর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বিএমএর অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে নেতাদের দূতিয়ালিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের এক মাস এক দিন পর সোমবার রাত ৮টায় তোপখানা রোডে বিএমএ কার্যালয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ রাত পৌনে ১১টায় জাগো নিউজকে জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপি চলমান বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য দেয়। অন্যদিকে অধিদফতরের কর্মকর্তারা যুক্তিতর্ক দিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
বিএমএ মহাসচিব জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সপক্ষে যে সকল সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদি রয়েছে তা মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে জমা দিতে বলেছে। তদন্তে যদি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয় তবে বিএমএ শিক্ষার্থীদের পাশে সহযোদ্ধা হিসেবে দাঁড়াবেন বলে আশ্বাস দেন বিএমএ নেতারা।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে লেখক, সাংবাদিক ও প্রবন্ধকার সৈয়দ আবুল মাকসুদ, সাংবাদিক আবু সাইদ খান ও আন্দোলনরতদের পক্ষে পাঁচ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানসহ বিএমএর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বৈঠকে অংশ নেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নুরুল হক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সদ্যবিদায়ী পরিচালক (মেডিকেল শিক্ষা) আবদুল হান্নান, পরিচালক (প্রশাসন) এহতেশামুল হক।
মেডিকেলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত মাসে আন্দোলন শুরু করে। সোমবার আন্দোলনের এক মাস পূর্ণ হয়। এতদিন সরকারের পক্ষ থেকে এই আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলা হয়েছে।
বিএমএ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পরশু স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।
এমইউ/বিএ