রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধের আইন সঠিকভাবে মেনে চলার তাগিদ
রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধের আইন সঠিকভাবে মেনে চলা ও এ বিষয়ক গণসচেতনা বৃদ্ধিতে সক্রিয় থাকার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ভবিষ্যতে রাসায়নিক দ্রব্য দ্বারা সংঘটিত যে কোনো প্রকারের দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে ১টি সুসজ্জিত ‘রাসায়নিক দ্রব্য পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণকারী দল” গঠনের প্রয়োজনীয়তার প্রতি বিশেষ আলোকপাত করেন করেন বক্তারা।
রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ (বিএনএসিডব্লিউসি) আয়োজিত সোমবার ‘রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আইন সংক্রান্ত বিধি বিধান, উহার প্রয়োগ ও এ বিষয়ক গণসচেতনা বৃদ্ধি” শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন বক্তারা। ঢাকা সেনানিবাসস্থ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে তফসিলভুক্ত ও তফসিল বহির্ভূত রাসায়নিক দ্রব্য আমদানির নিয়মাবলী, বিভিন্ন শিল্প ও ঔষধ শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা, নিয়মকানুন এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আলোচক হিসাবে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ড. ইয়াসির আরাফাত খান, বাংলাদেশ কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক রাজিউর রহমান মল্লিক, নির্বাহী সেল জাতীয় কর্তৃপক্ষের জেনারেল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া হোসেন, পিএসসি, জি এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফুন্নাহার, বিএন।
সেমিনারে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বার চৌধুরী, এনডিইউ, পিএসসি সমাপনী বক্তব্য রাখেন। সমাপনী বক্তব্যে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ আইন সঠিকরূপে মেনে চলা ও এ বিষয়ক গণসচেতনা বৃদ্ধিতে সক্রিয় থাকার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি ভবিষ্যতে রাসায়নিক দ্রব্য দ্বারা সংঘটিত যেকোনো প্রকারের দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় পর্যায়ে ১টি সুসজ্জিত “রাসায়নিক দ্রব্য পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণকারী দল” গঠনের প্রয়োজনীয়তার প্রতি বিশেষ আলোকপাত করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বুয়েট, বিসিআইসি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, বিভিন্ন ঔষধ ও পেইন্ট শিল্প কারখানা ও কেমিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সর্বমোট ৭০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এসকেডি/পিআর