বিদ্যুৎ বিপর্যয় : ভোগান্তিতে গণপরিবহন ও পানি সরবরাহ
জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে ঢাকার বহু সিএনজি স্টেশন ও পেট্রল পাম্পের ওপর। এ ছাড়াও বন্ধ হয়ে গেছে ওয়াসার প্রায় ৬০০ পানির পাম্প। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীবাসী।
বিদ্যুতের অভাবে রাজধানীতে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু সিএনজি স্টেশন। বন্ধ সিএনজি স্টেশনগুলোর সামনে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে গণপরিবহনে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ব্যক্তিগত গাড়িতেও অনেকে সিএনজি নিতে পারছেন না। আর এ কারণে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। শিগগিরই এ পরিস্থিতি উন্নত না হলে গণপরিবহনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনের অধিকাংশেরই নিজস্ব জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও পাম্প বন্ধ কেন, এ প্রশ্নে বিভিন্ন পেট্রল পাম্প থেকে বিভিন্ন উত্তর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই জানিয়েছে তাদের এতক্ষণ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য প্রস্তুতি ছিল না।
এদিকে দিকে ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, তাদের প্রায় ৬০০ গভীর নলকূপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে তাদের পানি সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পথে। অল্প কিছু পানির পাম্পে জেনারেটর রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে সীমিত পর্যায়ে ঢাকা মহানগরে পানি সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে।
এদিকে বিদ্যুতের এই বিপর্যয় কখন ঠিক হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কতৃপক্ষ। সন্ধ্যার মধ্যে কর্তৃপক্ষ সারাদেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করলেও জাতীয় গ্রিডে আবারও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলে ঢাকাসহ সারাদেশ অন্ধকারেই থাকছে।
টানা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে রাজধানীর অনেক এলাকাতেই সন্ধ্যার আগেই শেষ হয়ে গেছে মোমবাতির স্টক। কোথাও মিললেও অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা দোকানে ৫ টাকার মোমবাতির দাম রাখছে ১০ টাকা, আর ১০ টাকারটা রাখছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ২০ টাকার মোমবাতির দাম রাখা হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অনেক ক্রেতাদের লম্বা লাইনও দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।