২৮ হাজারেরও বেশি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দেবে র্যাব
রাজধানীসহ সারাদেশে ২৮ হাজারেরও বেশি পূজামণ্ডপে র্যাব নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ। এজন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো র্যাবও ইতিমধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর বনানী বড় মাঠে শারদীয় উৎসব প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, লক্ষ লক্ষ হিন্দু পূণ্যার্থী সারাদেশে ২৮ হাজারেরও বেশি পূজামণ্ডপে অংশ নেবেন। তাদের এই উৎসব উপলক্ষে র্যাবের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইবোনেরা যেন নির্বিঘ্নে পূজা উৎসবে অংশ নিতে পারেন সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। প্রতিবছর এটি ব্যাপক নিরাপত্তার সঙ্গে পালিত হয়। তবে সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় অনেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যেই পূজা ও আশুরা পালিত হবে। এর আগে রোজা ও পূজা এক সাথে পালিত হয়েছে। এবারো আশুরা ও পূজা একসঙ্গেই পালিত হবে। সেজন্য রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকের র্যাব সদস্যের পাশাপাশি র্যাবের নির্ধারিত পোশাকেও বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হবে। ডগ স্কোয়াডও সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখছে। এছাড়া র্যাবের অন্যান্য সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
এবারের পূজায় স্পষ্ট কোনো থ্রেট বা হুমকি থাকছে কি না জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, যারা ক্রিমিনাল তারা সব সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর বের করে তাদের অপরাধী তৎপরতা চালানো চেষ্টা করে থাকেন। তবে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।
বিদেশি হত্যার বিষয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমাদের দেশে বিদেশি দুই অতিথিকে নির্মভাবে খুন করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আমাদের নিরাপত্তা মানে প্রত্যেকটি জীবনের নিরাপত্তা। প্রত্যেকটি জীবনের নিরাপত্তার জন্য সামগ্রীক প্রচেষ্টা অব্যাহত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। যে কোনো ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে নিরাপত্তার স্বার্থে পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সকল মানুষের সহযোগিতায় ইতিপূর্বেও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা ও আশুরা পালিত হয়েছে। এবারো হবে। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গুলশান-বনানী সার্বজনীন শারদীয় পূজা পরিষদের সভাপতি সুভাষ ঘোষ, র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান প্রমুখ।
জেইউ/এআরএস/এমএস