ইরাক যুদ্ধ নিয়ে গোপন নথি ফাঁস


প্রকাশিত: ০৫:২১ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

ইরাকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন শুরুর এক বছর আগেই তাতে যুক্ত হতে সায় দিয়েছিলেন ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া মার্কিন সরকারের এক গোপন নথিতে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। রোববার বিবিসি ও এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল চিঠিটি লেখেন। ২০০২ সালের মার্চে লেখা ওই গোপন চিঠিতে দাবি করা হয়, ইরাকে যদি সামরিক অভিযান প্রয়োজন হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী সমর্থন জানাবেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় সে সময় ব্লেয়ার ভোটারদের বলেন, আমরা ইরাকে কোনো ধরনের সামরিক তৎপরতা প্রস্তাব করি না। তবে প্রকাশিত চিঠিতে তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। ২০০২ সালে টেক্সাসের ক্রফোর্ডে মার্কিন নেতা এবং টনি ব্লেয়ারের মধ্যে এক সম্মেলন হয়, যেখানে তারা ইরাকে হামলা চালানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।

গোপন ওই ডকুমেন্টে আরো বলা হয়, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে – এমন খবর প্রচারে প্রেসিডেন্ট বুশের পক্ষে সাফাই গাওয়ার কাজ করবেন ব্লেয়ার, যেখানে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ বলতে প্রকৃতপক্ষে সাদ্দামের কাছে কিছু ছিলো না। কথা ছিলো ব্লেয়ারের এই সহায়তার বিনিময়ে বুশ তার ভাবমূর্তি রক্ষার দায়িত্ব নেবেন। পরিস্থিতিকে এমনভাবে তুলে ধরবেন যেনো সবাই মনে করে ব্রিটেন আমেরিকার পোষা কুকুর নয়। দু’টি দেশের মধ্যে একটি ‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে যেখানে দু’টি দেশই সমান।

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভারের সব ইমেইল প্রকাশ করার জন্য আদালতের দেয়া নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এ নথি প্রকাশ হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ইরাক যুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হিলারি নথি চেয়েছিলেন।

জেডএইচ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।