বহিরাগতের কারণে মার খেলেন জাবির ৪ শিক্ষার্থী


প্রকাশিত: ০৩:২১ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অসামাজিক কাজ থেকে এক বহিরাগতকে বিরত থাকতে বলার জের ধরে চার শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। রোববার দুপুর দেড়টায় বঙ্গবন্ধু হলের গেস্ট রুমে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন, ৪৩তম আবর্তনের মো. উজ্জ্বল হোসেন ও সুবির মণ্ডল এবং ৪৪তম আবর্তনের আশিকুর রহমান ও রানা। আহত সবাই চারুকলা বিভাগে অধ্যয়নরত এবং বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুরাতন কলা ভবনের সামনে বন্ধুকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন ৪৩তম আবর্তনের ফার্মেসি বিভাগের এক ছাত্রী। তারা দৃষ্টিকটুভাবে বসে আছেন দাবি করে তাদের সংযত করতে এগিয়ে যান ৪৩তম ব্যাচের চারুকলা বিভাগের ছাত্র মো. উজ্জ্বল হোসেন। এসময় ওই ছাত্রীর বন্ধুর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র ও বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। এসময় সুবীর মণ্ডল, ৪৪তম ব্যাচের আশিকুর রহমান ও মঈনুদ্দীন ভূঁইয়াসহ চারুকলা বিভাগের কয়েজন ছাত্র-ছাত্রী এগিয়ে যান। তাদের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। মিথ্যে পরিচয় দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কেউ একজন থাপ্পড় দেন।

এরপর তিনি ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড় দেন। কিছু দূর গিয়ে ছাত্ররা তাকে ধরে ফেলেন। তাকে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। এ ঘটনা তিনি তার বন্ধু ৩৯তম ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র রূপাকে জানান।

ক্লাস শেষে হলে ফিরলে রূপা আমাদেরকে ফোন করে হলের গেস্ট রুমে ডেকে নেন। আমরা গেস্টরুমে ঢোকামাত্র তিনি এবং অর্থনীতি বিভাগের সাইদুল (৪০তম আবর্তন), নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ছাত্র বাঁধন (৪১তম আবর্তন), দর্শন বিভাগের শিহাব (৪২ তম আবর্তন), অর্থনীতি বিভাগের ইয়াছিন (৪২ তম আবর্তন), উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের তৌফিকসহ (৪২তম আবর্তন) প্রায় ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গেস্ট রুমের দরজা বন্ধ করে আধঘণ্টা ধরে উপুর্যপরী কিল-ঘুষি-লাথি মারতে থাকেন। এসময় চিৎকার শুনে হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক মামুনূর রশীদ এসে আমাদের উদ্ধার করেন।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত রূপার কাছে ফোন দেয়া হলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন এবং প্রতিবেদকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

তবে হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকজনকে মারধর করা হচ্ছে জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আমি হলে যাই। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছি। প্রশাসনকি সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.তপন কুমার সাহা জাগো নিউজকে বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

হাফিজুর রহমান/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।