সিলেটে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর
সিলেট নগরীর টিলাগড়ে রোববার রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী আহত হয়েছেন। এ সময় তিনটি রেস্টুরেন্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুরকৃত দোকানের মধ্যে রয়েছে আজমেরী রেস্টুরেন্ট, ফুড গ্যালারিসহ আরো একটি দোকান।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, শনিবার সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে নতুন কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী। এ কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতরা ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে রোববার রাত ৯টার দিকে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা টিলাগড়স্থ আজমেরি রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী আহত হন। পরে রায়হান চৌধুরীর অনুসারীরা টিলাগড়ের আরেকটি রেস্টুরেন্টে ফুড গ্যালারিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান।
সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (সদর দক্ষিণ) জেদান আল মুসা সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনটি খাদ্য সামগ্রীর দোকান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার নির্মলেন্দু পালকে সভাপতি ও মাহিন নুর ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করে জেলা ছাত্রলীগ। এ কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিতরা ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ক্যাম্পাসের উত্তেজনাকে ঘিরে দুপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ শওকত হোসেন।
ছামির মাহমুদ/বিএ