৬ শ্রমিককে গুলির ঘটনায় প্রতিবেদন, কী আছে জানেন না প্রকল্প পরিচালক
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ছয় শ্রমিককে গুলির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। তবে সেই তদন্ত প্রতিবেদনে কী উল্লেখ করা হয়েছে, তা জানেন না প্রকল্প পরিচালক (পিডি) (অতিরিক্ত সচিব, প্রকৌশল) গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী।
শনিবার (৯ মে) বিকেলে জাগো নিউজের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে না জানার বিষয়টি জানান গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী উল্লেখ করা হয়েছে, তা আমি জানি না। এখন তো ছুটি, ছুটির মধ্যে দেখতে পারি নাই।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। করোনার এই সময়ে শ্রমিকরা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় কাজ করলে বাড়তি ৩০০ টাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সিআরইসি। তবে অতিরিক্ত সময় কাজ করলেও বাড়তি ৩০০ টাকা করে পুরোপুরি না দেয়ায় মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার সিতারামপুরের প্রকল্প এলাকায় ৬ মে রাত ৮টার দিকে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা শ্রমিকদের ওপর সরাসরি গুলি চালায়। এতে ছয় শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার পরদিন জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা জাস্ট মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং, আর কিছু না। পেমেন্ট নিয়ে এই মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং। শ্রমিকদের অতিরিক্ত ৩০০ টাকা করে দেয়ার কথা ছিল ঠিকাদারের। সেই পেমেন্ট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটাই আমরা দূর করে দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সিম্পল, জাস্ট পায়ে গুলি লাগছে সবার। ছয়জনের পায়ে গুলি লাগছে।’
গুলির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী সেদিন বলেছিলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আগামীকালই (শুক্রবার) তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। কেন, কারা গুলি করেছে- এসব তদন্তের পরে বলতে পারব।’
অবশ্য আজ শনিবার ফোন করা হলেও কিছুই জানেন না বলছেন এই প্রকল্প পরিচালক।
এদিকে শ্রমিকদের ওপর গুলির ঘটনায় ব্যাখ্যা প্রদান করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরইসি। বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিদ্যমান প্রতিকূল সময়েও পদ্মা সেতু রেল-সংযোগ প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রাখতে প্রকল্পের চার হাজার ৭৪২ জন স্থানীয় শ্রমিকের সুরক্ষা ও সুস্থতায় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
পিডি/বিএ/এমকেএইচ