পূজা ও আশুরা উদযাপনে হুমকি নেই


প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা ও মুসলমানদের পবিত্র আশুরা উদযাপনে রাজধানীতে কোনো প্রকারের হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

রোববার দুপুরে দুর্গাপূজা ও আশুরার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

তিনি জানান, রাজধানীতে হামলা, নিরাপত্তা বিঘ্নিতের ঘটনা কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পুলিশের কাছে নেই।

এসময় রাজধানীতে পূজা উদযাপন উপলক্ষে পুলিশের তিন পর্যায়ের নিরাপত্তা প্রদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূজা শুরুর সময়, পূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার-র‌্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্যে পর্যাপ্ত বিজিবিও রাজধানীতে মোতায়ন থাকবে।
 
আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন,  পূজা মণ্ডপে প্রবেশের সময় হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে প্রবেশকারীদের তল্লাশি করে ঢুকানো হবে। ঢাকেশ্বরী ও রামকৃষ্ণ মিশনে পুলিশের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থাকবে। সেখানে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা থাকবেন। পাশাপাশি মণ্ডপগুলোতে সাদা পোশাকে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে ।
 
রাজধানীতে পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় এবার ৬ হাজার ৮৬৩ জন এবং আশুরার নিরাপত্তায় ২ হাজার ৫শ’ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটির নিজস্ব সেচ্ছাসেবকরাও হলুদ জার্সি পরে নিরাপত্তার কাজ করবে।
 
কমিশনার বলেন, যেহেতু শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জনের দিন তাই ঢাকা শহরের সকল শোভাযাত্রা সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে শেষ করতে হবে। কারণ ওই দিন রাস্তাঘাটে মানুষ জুম্মার নামাজের জন্য দাঁড়াবে। সাড়ে ১১টার পরে যদি কোনো শোভাযাত্রা আসে তাহলে সেটা থামিয়ে দেবে পুলিশের মোবাইল টিম। দুপুর ২টার পর থেকে সন্ধ্যার আগেই প্রতিমা বিসর্জন কার্য সম্পন্ন করতে হবে।
 
আশুরা তাজিয়া মিছিল সম্পর্কে কমিশনার বলেন, মোহাম্মাদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর এবং পল্টন এলাকাসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তাজিয়া মিছিল বের হবে। এসব মিছিলের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন থাকবে। এছাড়াও ট্রাফিক নিয়োন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে।
 
এআর/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।