কামরুলের উপস্থিতিতে রাজন হত্যার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হচ্ছে আজ


প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হচ্ছে আজ। আলোচিত এই মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে প্রধান আসামি সৌদি থেকে ফেরত কামরুলকে আজ আদালত হাজির করা হবে।

শিশু রাজনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া এই খুনিকে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বিচারের মুখোমুখি করতে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামরুলকে সিলেট আনা হয়। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

সৌদি পুলিশের হেফাজতে থাকা কামরুলকে আনতে গত সোমবার সকালে রিয়াদে যান পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল­াহ এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার এএফএফ নিজাম উদ্দিন।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) আব্দুল আহাদ চৌধুরী বলেন, রোববার ধার্য তারিখে সাক্ষ্য দেবেন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সুরঞ্জিত তালুকদারসহ তিনজন। ওই তারিখে কামরুলকেও আদালতে হাজির করা হবে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই মামলায় ৩৫ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন আদালত। মোট ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে অবশিষ্ট তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্য প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী।

গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর সৌদি আরবে পালিয়ে যান কামরুল। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশটিতে থাকেন। রাজনকে নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে গত ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।

ছামির মাহমুদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।