সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মিলবে এটিএম বুথে


প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৫

মুনাফা তুলতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের এখন থেকে আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এখন নিকটস্থ এটিএম বুথ থেকেই মুনাফা তুলতে পারবেন তারা। এছাড়া যেকোনো স্থান থেকে মোবাইলের এসএমএসে জানতে পারবেন বিনিয়োগের সর্বশেষ তথ্য। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়নে চালু হচ্ছে অটোমেশন পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ফলে অবসান হতে চলেছে বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তি। যার ফলে পূরণ হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ দিনের দাবি।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে সঞ্চয়পত্রের ভূমিকা আর্থিক খাতের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক খাতের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি, ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে সঞ্চয় স্কিমের ভূমিকা জনগণের কাছে আকর্ষণীয়। তাই সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ আরো সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে এবং এ সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর উদ্দেশে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার চালু করা প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন থেকেই এটি চালু করা হচ্ছে।
 
তিনি আরো জানান, সঞ্চয় স্কিমের যেসব গ্রাহক ইএফটি পদ্ধতিতে লেনদেন করতে আগ্রহী তাদের অবশ্যই ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। যাদের নেই তাদের ব্যাংকে হিসাব খুলতে হবে। এভাবে ব্যাংকের হিসাব ও লেনদেন বৃদ্ধিতে সরকারের তথা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়ন আরো তরাণ্বিত হবে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরোসমূহের মাধ্যমে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইফটি চালুর জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে একটি কর্মসূচি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যা অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হলে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অটোমেশনের কাজ আরো সম্প্রসারিত হবে।
 
অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমে ইএফটি চালু হলে গ্রাহকের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যথাসময়ে মুনাফার টাকা জমা হবে। মুনাফার টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকদের ইস্যু অফিসে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সঞ্চয়পত্রের মুনাফা/মূল অর্থ প্রাপ্তির জন্য ব্যাংক কাউন্টারে দীর্ঘ সময় অপেক্ষারও প্রয়োজন পড়বে না।

একই সঙ্গে ই-মেইল এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের হিসাবের অথবা বিনিয়োগকৃত টাকার সব তথ্য জানতে পারবেন। গ্রাহকরা নিকটস্থ যেকোনো এটিএম বুথ কিংবা আউটলেট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ইফটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে ম্যানুয়াল পদ্ধতির উপযোগিতা কমবে।

ফলে লোকবল ও কর্মঘণ্টার সাশ্রয় হবে এবং গ্রাহকদের সময় অপচয় হবে না। সর্বপরি একটি পেপারলেস কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। গ্রাহকরা সঞ্চয় স্কিম সম্পর্কিত কাগজাদি সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং সঞ্চয়পত্র হারিয়ে যাবার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবে।

এসআই/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।