করোনা আক্রান্ত সাংবাদিকের ঘরে তালা মালিকের, গেটে দিল এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ০৩ মে ২০২০

রাজধানীর বাসাবোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিকের বাসার দরজার বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাড়ির মালিক। আর বাড়িটির মূল গেটে তালা দিয়ে আটকে দিয়েছেন এলাকার মানুষজন।

রোববার (৩ মে) বাসাবোর রাজারবাগের বাগপাড়ার দরবার গলির ২ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই সাংবাদিক বেসরকারি এফএম রেডিও স্টেশন ‘রেডিও আমার’র রিপোর্টার। রিপোর্টিংয়ের পাশাপাশি তিনি উপস্থাপনাও করেন।

সরকারি তিতুমীর কলেজের এই শিক্ষার্থীর শরীরে গত ২ মে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ২৭ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য তিনি মুগদা হাসপাতালে নমুনা দিয়ে আসেন।

করোনা পজিটিভ আসার পর থেকেই বাড়ির মালিক ও মহল্লার বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা করতে থাকেন।

এ বিষয়ে করোনা আক্রান্ত ওই সাংবাদিক বলেন, ‘গলির মানুষ আমাদের বাসার মূল গেটে তালা মেরে দিয়েছে। আর বাড়ির মানুষ আমাদের ঘরের বাইরে থেকে তালা মেরে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অফিসে থাকতেই আমি করোনা উপসর্গে ভুগতে থাকি। মুগদা হাসপাতালে স্যাম্পল দিয়ে টেস্ট করাই। কিন্তু তারা কোনো রিপোর্ট জানায়নি। যে কারণে অফিসেই অবস্থান করেছিলাম। আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, আমি করোনায় আক্রান্ত। বিষয়টি জানার পর কাল (শনিবার) বাসায় ফিরে আলাদা রুমে থাকা শুরু করি। কিন্তু ওয়াশ রুম একটা। সেটা ব্যবহার করে স্প্রে করছি। কিন্তু ‍দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘একই গলিতে পাশেই আরেকটি বাসায় আমার বোন-দুলাভাই থাকেন। তারা লকডাউনে বাড়ি গেছেন। সুরক্ষার জন্য তাদের বাসায় মা, বোন ও ভাইকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমার করোনা আক্রান্তের খবরে ওই বাসায় থাকতে দিচ্ছে না বাসার মালিক ও স্থানীয়রা।’

তিনি বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না। কালকে রাতে ফয়সালা হওয়ার পরেও এখন ঝামেলা করছে। তারা বলছে, আম্মুদের টেস্ট না করিয়ে নাকি ওই বাসায় ঢুকতে দেবে না। এখন টেস্ট করাতে তো সময় লাগে। আপাতত তাদের আমার থেকে দূরে থাকার দরকার। তারা তো ওই বাসায় কোয়ারেইন্টাইন মেইনটেইন করবে। এখন আমি খুব ডিপ্রেশনে আছি।’

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর, সবুজবাগ থানা পুলিশকে বলেও সমাধান মেলেনি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে সবুজবাগ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ওই ঠিকানায় পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, সমস্যার সমাধান হবে।’

এমএএস/জেইউ/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।