‘তামাকদ্রব্যে করারোপ করে করোনার আর্থিক ক্ষতি পোষানো সম্ভব’
জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেকখানি পোষানো সম্ভব বলে মনে করেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফজলে হোসেন বাদশা।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ‘করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে (অনলাইন সেমিনার) এ মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা) এবং বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) যৌথভাবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘করোনাকালে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে সেটা পূরণের জন্য তামাকজাত দ্রব্যে করারোপ করলে সেটা অনেকখানি পোষানো সম্ভব। তবে এজন্য একটি সুনির্দিষ্ট তামাক করনীতি প্রণয়ন করে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে সারাদেশে যেসব জমি চাষহীন অবস্থায় রয়েছে সেগুলোতে ফসল ফলাতে হবে। তবে কোনোভাবেই উর্বর জমিতে তামাক চাষ করা যাবে না।’
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অধ্যাপক ড. নাসিরুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘এনবিআর প্রকাশিত একটি গবেষণা গ্রন্থে বিড়ির ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপের কথা বলা হয়েছে। ফলে সিগারেটেও সুনির্দিষ্ট করারোপের ক্ষেত্রে কোনো আইনগত জটিলতা নেই। বরং করোনাকালীন বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে এটা কার্যকর করা ভীষণ জরুরি।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক। এ সময় ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য তামাকে একটি সুনির্দিষ্ট কর প্রস্তাব এবং ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট সুপারিশও তুলে ধরেন তিনি।
ওয়েবিনারে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
পিডি/এইচএ/পিআর