জনগণের দোরগোড়ায় সেবা দেবে ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর
কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস জনিত লকডাউনে নগরবাসীর দোরগোড়ায় ডাক সেবা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের কার্যক্রম সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। রাজশাহী ও খুলনা মেট্রোপলিটন শহরেও একইসঙ্গে দুটি ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ ডাকঘর চালু করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সোমবার তার বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকায় জিপিও চত্বরে টেলিসংযোগের মাধ্যমে ৯টি ভ্রাম্যমাণ ডাকঘরের উদ্বোধন করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর নির্দেশে ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরের লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকায় জনগণের দোরগোড়ায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, জরুরি চিঠিপত্র, ওষুধপত্র ও করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত উপকরণ, পার্সেল, ডিজিটাল কমার্স, ইএমটিএস ও ডাক জীবন বীমা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই সেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উর-রহমান এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। ঢাকা জিপিও চত্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আজিজুল ইসলাম এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্রসহ ডাক অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবজনিত সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে ডাক অধিদপ্তর গত ২৮ মার্চ থেকে জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার গ্রাহককে ডাক সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং এক হাজার দুই শত কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরকার ইতোমধ্যে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি ডাক সেবাকে জরুরি পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করে। এর ফলে জিপিও, জেলা পর্যায়ের প্রধান ডাকঘর, শহরস্থ সাব পোস্ট অফিস এবং সীমিত পরিসরে গ্রামীণ ডাকঘর খোলা রয়েছে।
এমইউএইচ/এসএইচএস/এমএস