পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী নিলে ব্যবস্থা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি বাড়ায় দেশব্যাপী গণপরিবহন চলাচলের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। নতুন মেয়াদে ৫ মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অতি জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত। এ অবস্থায় অনেক পণ্যবাহী যানবাহন যাত্রী পরিবহন করছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বিআরটিএ) স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের (বিআরটিএ) পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) লোকমান হোসেন মোল্লা স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ৫ মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ অবস্থায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ১০২ ধারা অনুযায়ী তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অবস্থায় পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন রোধকল্পে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে এ বিষয় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
এর আগে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি বাড়ায় দেশব্যাপী গণপরিবহন চলাচলের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। নতুন মেয়াদে ৫ মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগের মতো জরুরি পরিষেবাসমূহ, খাদ্যদ্রব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জ্বালানি, ওষুধ, ওষুধশিল্প ও চিকিৎসা বিষয়ক সামগ্রী পরিবহন, কৃষিপণ্য, সার ও কীটনাশক, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ খাতের দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, শিশুখাদ্য, জীবনধারণের মৌলিক উপাদান, উৎপাদন ও পরিবহন, গণমাধ্যম ও ত্রাণবাহী পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলেও জানান সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।’
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার প্রথম ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। ছুটির মধ্যে গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ছুটি আরও চার দফায় আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে গণপরিবহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদও বাড়ছে।
জেএ/এএইচ/জেআইএম