সৌদিতে পালাতে সহায়তাকারীদের নাম জানতে চান রাজনের বাবা
সিলেটে শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরে আনায় প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ওরফে আলম।
কামরুলকে বৃহস্পতিবার দেশে আনা হচ্ছে-এমন খবরে রাজনের বাবা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলেন। তাকে কখন বিমানবন্দর থেকে কিভাবে নেয়া হয়েছে তিনি কিছুই বুঝতে পারেনি।
জাগো নিউজকে মুঠোফোনে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় শিশু রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান জানান, কামরুলকে দীর্ঘদিন পর হলেও দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনায় আমরা খুশি। তবে হত্যাকাণ্ডের পর কামরুলকে কারা সৌদি আরব যেতে সহায়তা করেছেন এবং কিভাবে কামরুল সৌদি আরবে গেল সে কথা আমরা কামরুলের মুখ থেকে শুনতে চাই।
আজিজুর রহমান আরো বলেন, যে বা যারা তাকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনার জন্য আমি সরকারের প্রতি দাবি জানায়। কামরুলকে পালাতে সহযোগিদের নাম জানার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান রাজনের বাবা। একই সঙ্গে কামরুলের ছোট ভাই শামীম ও তার বন্ধু পাবেলকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
রাজনের বাবা বলেন, কামরুলকে যদি পালাতে সহযোগিতা করা না হতো তবে তাকে সৌদি থেকে ফেরাতে সরকারের এতো টাকা ও কষ্ট করতে হতো না। এর সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
কামরুলকে পালাতে সহযোগিতাকারীরা এখনো বিচারের বাইরে রয়েছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা না হলে এ বিচার অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে পুলিশের হেফাজতে থাকা কামরুলকে আনতে গত সোমবার রিয়াদে যান পুলিশের তিন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার বিকালে আসামিকে নিয়ে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তারা ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন বলে জানান সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ রহমত উলাহ।
বিমান বন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এসপি রাশেদুল ইসলাম খান বলেন, দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ওই ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরুলকে নিয়ে সড়ক পথে সিলেটের পথে রওনা দেয় সিলেট মহানগর পুলিশের একটি দল। ওই দলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর সৌদিতে পালিয়ে যান কামরুল।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর