কুমিল্লায় ঝুঁকিপূর্ণ ৪৩৯টি মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দুই বিদেশি হত্যা, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু দণ্ডাদেশকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে এবারের দুর্গাপূজায় কুমিল্লা জেলার ১৬ উপজেলায় নেয়া হয়েছে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটবে। জেলার ১৬ উপজেলায় ৭৩১টি পূজা মণ্ডপে যেকোনো নাশকতা এড়াতে মাঠে ১৮ র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রায় আট শতাধিক পুলিশ সদস্য এবং চার হাজার ১শ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ও কম ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনসহ থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি।
জেলা ও পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলার ১৬ উপজেলায় ৭০৪টি মণ্ডপে পূজা হয়েছিল। এ বছর ৭৩১টি পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে আদর্শ সদর উপজেলায় ৬১টি, মুরাদনগর উপজেলায় ১৫৪টি, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ৮টি, লাকসাম উপজেলায় ৩১টি, হোমনা উপজেলায় ৪১টি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১৬টি, বুড়িচং উপজেলায় ৩৫টি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২১টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৫০টি, সদর দক্ষিণ উপজেলায় দেবিদ্বার উপজেলায় ৮৪টি, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১৩টি, বরুড়া উপজেলায় ৮৫টি, চান্দিনা উপজেলায় ৬৯টি, তিতাস উপজেলায় ১১টি এবং মেঘনা উপজেলায় ২টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
মণ্ডপে নিরাপত্তা বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, শারদীয় দুর্গোৎসবকে সার্বজনীন উৎসবে রূপ দিতে জেলার ১৬ উপজেলার ৭৩১টি মণ্ডপের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ২০৭টি ও গুরুত্বপূর্ণ ২৩২টি মণ্ডপসহ সকল মণ্ডপেই নেয়া হয়েছে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে থাকবে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনসহ গোয়েন্দা নজরদারি। পূজা মণ্ডপের আশপাশে মদ সেবন ও জুয়া খেলা রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তিনি আরো জানান, যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকার ঘটনা এড়াতে মাঠে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, কমিউনিটি পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/পিআর